গার্মেন্টসের প্রোডাকশন ম্যানেজারের প্রধান কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক রেখে উৎপাদন করা এবং প্লান অনুযায়ী তার টার্গেট অ্যাচিভ করা। এখানে আমরা শিখব গার্মেন্টস প্রডাকশন ম্যানেজারের জব ডিসক্রিপশন বা পিএম এর জেডি বা কাজ বা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে।
একজন প্রোডাকশন ম্যানেজার এর অনেক ধরনের কাজ আছে আমরা এখানে প্রত্যেকটা বুলেট পয়েন্ট এর বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এই পোস্টের অথবা সামারি দেখে নিতে পারেন ।
মুখ্য পয়েন্টগুলি
- 1 প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ (জে.ডি)
- 2 প্রডাকশন প্লান এনালাইসিসঃ
- 3 চলতি মাসের শেষে পরবর্তী মাসের জন্য ফ্রিজ প্লান রিভিউ করে দেখতে হবে।
- 4 প্রতিদিন লাইন ভিত্তিক প্লান তৈরী করতে হবে।
- 5 কাটিং ইনচার্জকে লাইনের জন্য সাইজ সেট বানানোর নির্দেশ দিতে হবে
- 6 স্যাম্পলের উপর ভিত্তি করে সাইজ সেট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে।
- 7 সাব-স্টোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা ফেব্রিক, এক্সিসরিজ জিনিসপত্র সঠিক পদ্ধতিতে পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
- 8 পি.পি. মিটিং এর জন্য সিডিউল তৈরী করতে হবে এবং পি.পি. মিটিং এ ( ইন্টারনাল / বায়ার ) অংশগ্রহণ করতে হবে।
- 9 প্রডাকশন ম্যানেজারের রুটিন মাফিক কাজ গুলিঃ
- 10 দৈনিক লাইন ব্যালেন্সিং ফলোআপ করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
- 11 প্রতি ঘন্টায় লাইনের জন্য প্লান দিতে হবে।
- 12 কাটিং ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে কাটিং প্লান দিতে হবে।
- 13 ফিনিশিং ইনচার্জের সাথে যৌথভাবে দৈনিক ফিনিশিং এবং শিপমেন্ট প্রসেস ফলোআপ করতে হবে।
- 14 ১ম এবং ২য় ঘন্টার লাইন ওয়াইজ প্রডাকশন মনিটরিং করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ
- 15 স্টাইল ওয়াইজ মেজারমেন্ট রিপোর্ট দিনে একবার চেক করতে হবে।
- 16 কাটিং এবং ফিনিশিং কোয়ালিটি রিপোর্টগুলো দিনে একবার চেক করতে হবে।
- 17 দুর্বল প্রসেসে কারেক্টিভ এ্যাকশন ফলোআপ করতে হবে।
- 18 লাইন ওয়াইজ ডব্লিউ.আই.পি. মনিটরিং এবং কন্ট্রোল করতে হবে।
- 19 পূরনো স্টাইল আবারো আসলে প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ গুলিঃ
- 20 ডকুমেন্ট আপগ্রেডিং: such as
- 21 নিরাপত্তা এবং কমপ্লাইন্স সম্পর্কীত বিষয়সমূহঃ
- 22 নিডেল, শার্প টুলস , মেটাল কন্ট্রোল প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
- 23
- 24 প্রডাকশন ম্যানেজারের অন্যান্য ফাংশনাল / টেকনিক্যাল দক্ষতা সম্পন্ন কাজ গুলি:
প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ (জে.ডি)
প্রডাকশন প্লান এনালাইসিসঃ
মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাসিক প্রোভিশন প্লান প্লানিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সংগ্রহ করার জন্য করনীয় সমুহঃ
ফ্রিজ প্লানের জন্য প্রযোজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং সব কিছু ভাল করে চেক করতে হবে।
ফ্রিজ প্লান নিয়ে আলোচনা করার আগে আরো দু-একটি পয়েন্ট জেনে নেওয়া দরকার । সর্বপ্রথম তৈরি হয় রোলিং প্লান অর্থাৎ সামনের যতগুলো সম্ভাব্য স্টাইল আসতে পারে তার সব স্টাইল এই লিস্ট এর মধ্যে থাকবে।
তারপর সেটাকে কাটছাঁট করে পিএম এর সহায়তায় প্রফেশনাল প্লান তৈরি করা হয়। এটি সাধারণত মাসের 20 তারিখের পর থেকে 26 27 তারিখের দিকে হয়ে যাবে।
মাসের শেষের দিকে ফিক্সড প্লান বানানো হয় যেটা সাধারণত পরিবর্তন করা হয় না অর্থাৎ এই ফিক্সট প্লান এর উপর ভিত্তি করেই লাইনের স্টাইল শুরু হবে এবং তৎসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম এই ফিক্সট প্লান এর উপর ভিত্তি করেই করতে হবে।
এজন্য পিএম এর একজন প্রোডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে প্লানিং ডিপার্টমেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে সামনের মাসের জন্য ফিক্সট প্ল্যান সম্পর্কে জেনে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
চলতি মাসের শেষে পরবর্তী মাসের জন্য ফ্রিজ প্লান রিভিউ করে দেখতে হবে।
একইভাবে রানিং মাস বা বর্তমান যে মাস্টার চলছে এই মাসের একদম শেষের দিকে পরবর্তী বাস মানে সামনের মাসের জন্য ফিক্সট প্লান রিভিউ করতে হবে এবং এই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
প্রতিদিন লাইন ভিত্তিক প্লান তৈরী করতে হবে।
লাইন ভিত্তিক প্লান তৈরি করার জন্য প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে প্ল্যানিং করার জন্য সহযোগিতা করতে হবে।
- নতুন স্টাইলের জন্য লিস্ট তৈরী করতে হবে এবং ফ্রিজ প্লান অনুযায়ি কাজ চালিয়ে যেতে হবে পি.সি.ডি.এস এর নির্দেশনা অনুযায়ী এবং লাইনে লে-আউট প্লান তৈরী করতে হবে।
- প্লানিং ডিপার্টমেন্টের লাইন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেক নতুন স্টাইলের জন্য সম্পূর্ণ প্রযোজনীয় জিনিস পত্র সহ ট্যাকনিক্যাল ফাইল তৈরি করতে হবে।
- টেকনিক্যাল ফাইল, এপ্রুভাল স্যাম্পল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ভাল ভাবে চেক করতে হবে .
স্টাইল শুরু হবার জন্য প্রয়োজনীয় যতগুলো পদক্ষেপ আছে তার সবগুলোই গ্রহণ করতে হবে।এজন্য টেকনিকেল পায়েল ভালোভাবে রিভিউ করে দেখতে হবে।
কাটিং ইনচার্জকে লাইনের জন্য সাইজ সেট বানানোর নির্দেশ দিতে হবে
নতুন স্টাইল এর জন্য কাটিং সেকশন কে সাইট বানানোর জন্য তাগিদ দিতে হবে।এবং নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে যে সাইট বানানো হয়েছে কিনা এবং সম্পূর্ণরূপে বানানো হয়ে গেলে সেটা এনালাইসিস করার জন্য প্রোডাকশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বা পি এন ডি সেকশনে পাঠাতে হবে।
স্যাম্পলের উপর ভিত্তি করে সাইজ সেট তৈরী নিশ্চিত করতে হবে।
প্রোডাকশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেকশনে সাইট পাঠানোর আগেই সেই সেটটি নিয়ে একটা করে চেক করে দেখতে হবে এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কাটিং সেকশন থেকে বাড়ানো 66 বহু স্যাম্পল এর মত হয়েছে।
যদি প্রোডাকশন ম্যানেজার এর কাছে মনে হয় যে বানানো ছয়ষট্টি সঠিক হয়নি তাহলে পুনরায় শেষের দিক নির্দেশনা দেবে এবং একবার মাত্র ওকে হলেই সাইটটি প্রোডাকশন ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দিবেন।
- যদি স্যাম্পলে কোন সংশোধনী থাকে তবে টেকনিশিয়ান এবং কিউ.এ. এক্সিকিউটিভের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- আই.ই. পারসনের সাথে যোগাযোগ করে নির্ধারিত ও.বি. তৈরী, মেশিন রিকোয়ারমেন্ট এবং লে-আউট রেডি এবং মেইন্টেইন্স এক্সিকিউটিভ প্রযোজনীয় মেশিনারিজ পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
ফিক্সট প্লানঅনুযায়ী লাইনে নতুন একটা স্টাইল শুরু করার জন্য ও বি সেট বানানোর জন্য আই এ টিমের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
অভি সিট অনুযায়ী লে আউট করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল মেশিন ইতিমধ্যেই প্রস্তুত আছে কিনা সে ব্যাপারটা পিএম কে জানতে হবে মেনটেনেন্স টিমের কাছ থেকে। কোন অবস্থাতেই লেআউট শুরু করার জন্য খুব বেশি পরিমাণ সময় ব্যয় করা যাবে না।
এজন্য লাইন শুরুর আগেই লে আউটের জন্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিস অভিষেক থেকে শুরু করে ম্যানপাওয়ার কার্ড প্যানেল স্যাম্পল টেকনিকেল ফাইল মেশিন ইত্যাদি সবকিছু ঠিকমতো প্রস্তুত আছে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সাব-স্টোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্বারা ফেব্রিক, এক্সিসরিজ জিনিসপত্র সঠিক পদ্ধতিতে পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
সাব স্টোর হচ্ছে কোন একটা ফ্লোর বা ইউনিটের জন্য প্রধান স্টোর এর প্রতিনিধিত্বকারী স্টোর রুম।
পিএম বা প্রোডাকশন ম্যানেজার কে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে স্টাইলে শুরু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ট্রিমস অন্ড অ্যাকেসরিজ সাব স্টরে পৌঁছে গেছে ।
পি.পি. মিটিং এর জন্য সিডিউল তৈরী করতে হবে এবং পি.পি. মিটিং এ ( ইন্টারনাল / বায়ার ) অংশগ্রহণ করতে হবে।
পিপি মিটিং বা pre-production মিটিং এর জন্য শিডিউল তৈরি করতে হবে প্লানিং এর সাথে ।মিটিং এর সিডিউল তৈরি করার আগে প্রোডাকশন থেকে সাইজ সেট এনালাইসিস হয়েছে নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সাইজ সেট এলাইসিস রিপোর্টটি বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।
যদি কোন ধরনের কারেকশন বা কোন প্রকার কমেন্টস থাকে তাহলে সেই বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট এর সাথে কথা বলে প্রি-প্রোডাকশন মিটিং কবে করা যায় সেই প্ল্যান টা শেয়ার করবেন এবং সে অনুযায়ী মিটিং এর ডেট নির্ধারণ হলে প্রোডাকশন ম্যানেজার সেখানে উপস্থিত থাকে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
- ট্র্যায়াল কাট তৈরীর জন্য নির্দেশ দিতে হবে এবং প্রসেস ফলোআপ করতে হবে যতক্ষণ না ট্র্যায়াল কাট লাইনে আসছে।
- যদি কোন প্রকার মেজারমেন্টের কোয়ালিটি ইস্যু থাকে তবে তবে টেকনিশিয়ান এবং কিউ.এ. এক্সিকিউটিভ এর সাথে আলোচনা করে সংশোধনী আনতে হবে।
প্রডাকশন চলাকালীন সময়ে যদি কোন ধরনের কোন কোয়ালিটি ক্লেইম আসে তবে অর্থাৎ মেজারমেন্ট কম বেশি বা অন্য কোন ইস্যু থাকে তবে সংশ্লিষ্ট ফ্লোরের কোয়ালিটি ইনচার্জ, টেকনিশিয়ানের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
- বাল্ক কাট এর জন্য এপ্রুভাল আনতে হবে এবং বাল্ক কাটের জন্য প্রসেস রেডি করতে হবে।
প্রডাকশন ম্যানেজারের রুটিন মাফিক কাজ গুলিঃ
দৈনিক উপস্থিতি , অনুপস্থিতি চেক করতে হবে লাইন কার্ডার অনুযায়ী এবং কোন কোন ম্যান পাওয়ার অভাব হলে সেটা পূরণ করতে হবে।
এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয় যে প্রতিদিন সকল লাইনের জন্য সকল অপারেটর সুপারভাইজার টেকনিশিয়ান অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যক্তি উপস্থিত থাকবে এই জন্য শুরুতেই কোন লাইন এর জন্য কতজন উপস্থিত আছে এবং কতজন উপস্থিত নেই এই অনুপস্থিতির একটা লিস্ট তৈরি করতে হবে।
এবং উন্নয়নের জন্য লাইন কাটার অর্থাৎ লাইনের জন্য নির্ধারিত ব্যক্তিদের চেয়ে কতজন কম আছে সেটা একটা এক্সেল শীটে রিপোর্ট তৈরি করে ফেলতে হবে।
এই কাজটি পিএম এর বা প্রোডাকশন ম্যানেজার এর পক্ষে নির্ধারিত কেউ কাজটি করে প্রোডাকশন ম্যানেজার কে জমা দিবে ।
এখানে বলে রাখা ভাল প্রত্যেকদিন লাইন সুপারভাইজার কে তার লাইনের কত জন অনুপস্থিত সেই তালিকা প্রোডাকশন ম্যানেজার এর পক্ষে নির্ধারিত ব্যক্তির কাছে জানাতে হবে এবং এই নির্ধারিত ব্যক্তি প্রোডাকশন ম্যানেজার এর অনুপস্থিতির রিপোর্ট জমা দিবে ।
এবার যদি দেখা যায় কোন লাইনে কোন বিশেষ প্রসেস এর জন্য যে দক্ষ অপারেটর প্রয়োজন ছিল সে যদি অনুপস্থিত থাকে তবে প্রোডাকশন ম্যানেজার শূন্য আসন পূরণ করার জন্য অন্য অপারেটর সেখানে নিয়োগ করতে পারে অথবা সুপারভাইজার কে প্রোডাকশন ম্যানেজার এর পক্ষে অপারেটর সংগ্রহের কাজটি করবে ।
দৈনিক লাইন ব্যালেন্সিং ফলোআপ করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
প্রতিদিন লাইনে মধ্যে কয় জন এসেছে এবং কয় জন আসে নি ইত্যাদি ডেটা সকাল বেলা এসেই সংগ্রহ করে নিতে হবে। কার্ডার অর্থাৎ লাইন ভিত্তিক যত জন বরাদ্ধ ছিল তার মধ্যে থেকে কয় জন আসে নি সেই ডেটা নিতে হবে। এর মধ্যে কোন প্রসেসের অপারেটর নেই সেটাই একই সাথে জেনে নিতে হবে।
এবার অন্য লাইনের দিকে দেখতে হবে তাদের কি অবস্থা।
ধরা যাক কোন একটা লাইনের জন্য বটম হেম প্রসেসের মেয়ে আসে নি। এবং অন্য লাইনে দেখতে হবে ঐ একই প্রসেস করতে পারে এমন কয় জন অপারেটর আছে।
যদি দেখা যায় ৩/২ জন আছে তখন লাইন চিপের সাথে কথা বলে একজন এই লাইনে দিয়ে দিতে হবে।
ঠিক একইভাবে অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করতে হবে। মোট কথা উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য লাইনটা ব্যালেন্সিং করতে হবে।
প্রতি ঘন্টায় লাইনের জন্য প্লান দিতে হবে।
লাইনের জন্য আজকের প্রোডাকশন প্লান কত হবে এইটা প্লানিং ডিপার্টমেন্ট থেকে আই.ই. ম্যানেজ করবে।
প্রোডাকশন ম্যানেজার প্রতি ঘন্টার জন্য কোন লাইনে কত প্রোডাকশন দিতে হবে সেই ডেটা সংগ্রহ করতে হবে এবং সবাইকে ডেকে ফোরকাস্ট মিটিং এ যার যার লাইনের ঘণ্টার প্রোডাকশন কত হবে সেটা জানিয়ে দিতে হবে।
পাশপাশি টেকনিশিয়ান / এক্সিকিউটিভদেরও নির্দেশনা দিতে হবে যে ঘণ্টা ভিত্তিক প্লান অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে কি’না সেটা ফলো আপ করার জন্য।
কাটিং ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে কাটিং প্লান দিতে হবে।
এখন প্রোডাকশন ফ্লোরের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি ঘন্টায় কতটুকু ফেব্রিক লাগবে অথবা দৈনিক কতটুক ফেব্রিক লাগবে অর্থাৎ কতটুকু ফেব্রিক দিনে কাটতে হবে সেই প্লান কাটিং ইনচার্জকে দিতে হবে।
কাটিং ইনচার্জ ফ্লোরের চাহিদা অনুযায়ী কাটিং করবে। প্রোডাকশন ম্যানেজার ফলো আপ করবে সুইং এর চাহিদা অনুযায়ি পর্যাপ্ত কাটিং হচ্ছে কি’না।
ফিনিশিং ইনচার্জের সাথে যৌথভাবে দৈনিক ফিনিশিং এবং শিপমেন্ট প্রসেস ফলোআপ করতে হবে।
আজকের দিনের কতটুকু ফিনিশিং হবে সেটা কিভাবে কখন করতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে ফিনিশিং ইনচার্জের সাথে কথা বলতে হবে।
পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে যদি কোন ইস্যু থাকে তবে সেটিকে সমাধান করতে হবে। যেমন/Such as কাটিং থেকে ফ্রেব্রিক আসতে দেরী হলে সেটা সুইং লাইনে কখন আসবে, সেটা লাইন থেকে ফিনিশিং এ কখন আসতে পারে এবং তখন প্যাক করতে করতে কত সময় লাগতে পারে তা বের করতে হবে।
এবং সেই অনুয়ায়ী ফিনিশিং ডিপার্টমেন্টে কত জন ম্যানপাওয়ার লাগবে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
এইগুলো বিবেচনা করে পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে শিপমেন্ট করার জন্য যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে যা যা করা দরকার তার সব গুলো বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি’না সেটা ফলো আপ করবেন।
১ম এবং ২য় ঘন্টার লাইন ওয়াইজ প্রডাকশন মনিটরিং করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ
একটা প্রোডাকশন লাইনকে উৎপাদনমুখী করার জন্য প্রথম এক থেকে দুই ঘন্টা কাজ করাটা খুব জরুরি কারণ এই সময় যদি একটা লাইন খুব ভালোভাবে শুরু হয় তবে খুব সম্ভাবনা আছে বাকি সময় গুলো একই ধারাবাহিকতায় প্রোডাকশন হতে থাকবে ।
এজন্য প্রোডাকশন ম্যানেজার কে প্রথমে 1 এবং 2 ঘন্টায় লাইনের সাথে সরাসরি কানেক্ট থাকতে হবে এবং লাইনের কালকে তুমি যে প্রোডাকশনের জন্য লাইন কি রেডি করে ফেলতে হবে।
- লাইন ওয়াইজ সাইকেল চেক রিপোর্ট নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সর্বোত্তম আউটপুট দিতে হবে এবং লাইনে রি-ব্যালেন্সিং নিশ্চিত করতে হবে।
- অন্তত দিনে ২ বার কোয়ালিটি রিপোর্টগুলো ( ইনপ্রসেস, ৫ পিচে ১ পিচ চেক, প্রাইমারী ইন্সপেকশন ) চেক করতে হবে।
একটাপ্রোডাকশন এর মধ্যে যতগুলো কোয়ালিটি রিপোর্ট আছে সবগুলোই অন্ততপক্ষে দিনে দুবার প্রোডাকশন ম্যানেজার রিপোর্টগুলো ফলোআপ করতে হবে প্রয়োজনে রিপোর্ট এর বিপরীতে সেই লাইনের কোয়ালিটি এবং সুপারভাইজারের সাথে কথা বলতে হবে।
প্রোডাকশন ম্যানেজার কে মাঝেমধ্যেই লাইনের মধ্য হতে ইন প্রসেস এবং লাইনের শেষে অঞ্চল কলেজ এক টেবিল থেকে 12 পিস করে গার্মেন্টসে করে দেখতে হবে ওভার অল লাইনের কোয়ালিটি কেমন হচ্ছে সেটা যাচাই করার জন্য।
সম্ভব হলে প্রতিদিন প্রত্যেকটা কোয়ালিটি ছবি হতে রেনডমলি 1 অথবা 2 পিস করে গার্মেন্টস চেক করে দেখতে হবে যে লাইনের কোয়ালিটির অবস্থা কিরকম সেটা বোঝার জন্য।
স্টাইল ওয়াইজ মেজারমেন্ট রিপোর্ট দিনে একবার চেক করতে হবে।
প্রোডাকশন ম্যানেজার, যার কাজ হচ্ছে প্রোডাকশন ম্যানেজ করা একটা একটা লাইন হতে যতগুলো আউটপুট হচ্ছে তা সামঞ্জস্য রাখা একই সাথে যে গার্মেন্টসগুলো আউটপুট হচ্ছে সেগুলো কোয়ালিটি সম্মত হচ্ছে কিনা সে বিষয়টা ফলোআপ করা।
যদিও কোয়ালিটির বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য কোয়ালিটি কাজ করতেছে তবুও প্রোডাকশন ম্যানেজার এর কোয়ালিটি রিপোর্ট গুলো চেক করে দেখতে হবে।
গার্মেন্টস যা আউটপুট হচ্ছে তার মেজারমেন্ট ঠিক আছে কিনা এটা সবসময় করতে হবে এমন নয় তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্টাইলের গার্মেন্টসের মেজারমেন্ট চেক করে দেখতে হবে ।
কারণ উৎপাদিত গার্মেন্ট যদি মেজারমেন্ট শর্ট হয় কম বেশি হয় তবে ভোগান্তি বাড়বে এজন্য মেজারমেন্ট এর উপর স্পেশাল ফলোআপ করা জরুরি।
ধরা যাক কোন একটা প্রোডাকশন ইউনিটে সাতটা লাইন অথবা দশটা লাইন কাজ করছে।
এখন সেখানে যদি স্টাইল চলে তিনটা তবে প্রোডাকশন ম্যানেজার কে মাঝেমধ্যেই ফিশিং এর মধ্যে অথবা গাঙ্গুলী লাইন হতে বিভিন্ন গার্মেন্টস চেক করে দেখতে হবে ওই গার্মেন্টস মেজারমেন্ট সঠিক আছে কিনা এটা চেক করে দেখতে হবে ।
কাটিং এবং ফিনিশিং কোয়ালিটি রিপোর্টগুলো দিনে একবার চেক করতে হবে।
যাতে সুইং লাইনে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ না হয়ে যায় এবং উৎপাদিত গার্মেন্টস যতটা সম্ভব ডিফেক্ট মুক্ত হয়।
এই জন্য শুরুটা কাটিং সেকশন এর কোয়ালিটি কন্ট্রোলার মাধ্যমে শুরু করে ওই ফেব্রিক সুইং লাইনের গার্মেন্টস বানানোর পর সেটাকে কার্টুনের প্যাক করা পর্যন্ত প্রোডাকশন ম্যানেজারকে ফলোআপ করতে হবে।
মাঝে মাঝেই কাটিং এর রিপোর্ট লেআউট অথবা যে ফেব্রিক গুলো কাটা হচ্ছে সেগুলো প্লান অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা তদারকি করা পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব বা অন্যতম প্রধান কাজ।
কোথাও কোন ধরনের সমস্যা পাচ্ছে কিনা বা যদি সমস্যা পাওয়া যায়
তবে সেগুলোকে দ্রুত সমাধান করার জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা কিংবা কোন ফেব্রিক জনিত কোন ডিফেক্ট আছে কিনা
অর্থাৎ ওই ফেব্রিকটি কাটিং করার পর সুইং লাইনে দেওয়ার উপযুক্ত আছে কিনা সে বিষয়টি ফলোআপ করতে হবে পিএম কে।
যাতে কোনোভাবেই সুইং লাইনে ফেব্রিক না থাকার কারণে লাইন বন্ধ না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এই জন্যে কাটিং এর সকল ধরনের ম্যাটেরিয়াল ঠিকঠাক আছে এবং প্লান অনুযায়ী কার্যক্রম চালু আছে সেটা ফলোআপ করতে হবে।
একইভাবে সুইং লাইনে সুইং করার পর গার্মেন্টসগুলো কোয়ালিটি সম্মত হচ্ছে কিনা, সেগুলো কোয়ালিটি পাস করার পর ফিনিশিংয়ে পৌঁছেছে কিনা
নাকি ডিফেক্ট এর কারণে আটকে আছে সে বিষয়টি ফলোআপের জন্য কি মিটিংয়ে রিপোর্ট চেক করে দেখতে হবে ।
প্রতি ঘন্টায় কত পিস গার্মেন্টস লাইন থেকে আউটপুট হচ্ছে এবং কত পিস ফিনিশিং যাচ্ছে সেই সংখ্যাটি চেক করে দেখতে হবে।
যদি সংখ্যা কাছাকাছি না থাকে তবে কেন লাইন থেকে আউটপুট হবার পরও ফিনিশিং আসেনি তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এজন্য গার্মেন্টস কোয়ালিটি রিপোর্ট গুলোর উপর নিয়মিত ফলোআপ করা পিএম এর বা প্রোডাকশন ম্যানেজারের অন্যতম প্রধান কাজ এবং এটা একান্তই জরুরী ।
দুর্বল প্রসেসে কারেক্টিভ এ্যাকশন ফলোআপ করতে হবে।
গার্মেন্টস তৈরী করতে গিয়ে কোন প্রসেস / অপারেশনে সব থেকে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে সেই প্রসেসগুলো খুজে বের করতে হবে।
সকল রুট কসগুলি কারণ খুজে বের করতে হবে এবং সেই সমস্যার সমাধান দিতে হবে।
এর পর নিয়মিত ফলো আপ করতে হবে অথবা এক্সিকিউটিভদের নির্দেশনা দিতে হবে।
সেই প্রসেস / অপারেশন নিয়মিত ফলো আপ করার জন্য যাতে একই ধরণের সমস্যা পুনরায় না হয়।
লাইন ওয়াইজ ডব্লিউ.আই.পি. মনিটরিং এবং কন্ট্রোল করতে হবে।
কোনো কারণে যদি কোন একটা মেশিনে আউটপুট কম হয় কিংবা কোন একটা প্রবলেমের কারণে পরবর্তী প্রসেসে না আসে,
তাহলে ওই জায়গায় গার্মেন্টগুলোর জমে যাবে যা পরবর্তী মেশিনে আসবেনা তাহলে যে জায়গায় গার্মেন্টসগুলো জমে আছে সেখানে ডাবলু.আই.পিই বেশি আছে।
যদি এই ধরনের ডব্লিউ.আই.পি বেশি থাকে কোন লাইনে তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই লাইনে গিয়ে দেখতে হবে কেন সেখানে ডব্লিউ.আই.পি বেশি আছে।
কি কারনে আছে যদি কোন যুক্তিপূর্ণ কারণ থাকে সেটা খুবই দ্রুত সমাধান করতে হবে।
- লাইন ওয়াইজ ইফিসিয়েন্সি, কাটিং, ফিনিশিং ইফিসিয়েন্সি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আরো উন্নতির জন্য আলোচনা করতে হবে।
- সমস্থ প্রসেস কাটিং থেকে শুরু করে ফিনিশিং পর্যন্ত মনিটরিং করতে হবে ফ্যাক্টরীর নিয়ম নীতি অনুসরণ করে।
একটা গার্মেন্টস ঠিকভাবে উৎপাদন হবার জন্য কাটিং থেকে শুরু করে ওই কার্টুন এ পর্যন্ত যতগুলো ছোট ছোট প্রসেস আছে,
তার সবগুলো সম্পর্কে প্রোডাকশন ম্যানেজার এর ধারণা ক্লিয়ার থাকতে হবে।
কারণ কোথাও যদি কোন একটা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তার পরের অবস্থানে প্রোডাকশন হ্যাম্পার হবে।
এছাড়াও অন্যান্য এক্টিভিটি সমূহ হচ্ছেঃ
- সাপ্তাহিক শিপমেন্ট মিটিং পরিচালনা করতে হবে এবং শিপমেন্ট রেশিও অনুযায়ী সবচে বেশি অর্জন নিশ্চিত করতে হবে।
- শ্রমিকদের ট্রেনিং দিতে হবে এবং অপারেটরের কাজের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।
- কোম্পানির খরচ কমানোর ব্যাপারগুলোতে যুক্ত থাকতে হবে।
পি এম বা প্রডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব / কাজ হচ্ছে ডব্লিউ.আই.পি বা ওয়ার্ক-ইন-প্রগ্রেস যাতে লাইনের প্রডাকশন কমিয়ে না দেয় বা লাইন বন্ধ না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করা।
পূরনো স্টাইল আবারো আসলে প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ গুলিঃ
রিপিট স্টাইল (repeat style) / পুরনো স্টাইল(old style) বলতে বুঝানো হয় আগে একবার লাইনে চলছে সেই একই স্টাইল আবারো এসেছে ।
হয়তোবা এক্ষেত্রে হালকা একটু চেঞ্জিং আছে অথবা আগের মতো হুবহু প্রায় সবকিছু মিলে গেছে।
হিস্টোরিক্যাল ডাটা এনালাইসিস (historical data analysis):
এই ধরনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আগে যখন কাজ করা হয়েছিল তখন সেই স্টাইল এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল টাকাগুলো দিয়ে করতে হবে
এবং এনালাইসিস করে দেখতে হবে যে সেই সময়ে শিপমেন্ট করার সময় কোন কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল লাইনে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যা ছিল সেগুলো নোট ডাউন করে নিতে হবে।
আগের ওই স্টাইল এর আরও কোনো জটিল অন্য কোনো ইস্যু আছে কিনা থাকলে সে বিষয়গুলো কেউ নজরে আনতে হবে
এবং কিভাবে সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছিল সেই বিষয়টি অবহিত হতে হবে।
এর পাশাপাশি একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
যে সেই সময়ের যে স্থানে চলছিল সেই সময় যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছিল সেটা কি এখনো তৈরি হবার সম্ভাবনা আছে কিনা?
যদি থাকে তাহলে সেটার সমাধান টা কিভাবে করতে হবে সে বিষয়টি নজরে আনতে হবে।
পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব বা কাজ হচ্ছে রিপিট স্টাইলের ডেটা এবং রিপোর্টগুলো খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষন করা।
যাতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন আগের ঘটে যাওয়া সমস্যা পুনরায় না আসে। অবিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন স্টাইলে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রিপিট স্টাইল বা পুরনো স্টাইল আবারো যদি লাইনে আসে সে ক্ষেত্রে পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে
নিম্নোক্ত বিষয়গুলিতে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা। such as:
স্যাম্পল (sample):
যেহেতু এটা একটা রিপিট স্টাইল সে জন্য স্যাম্পল আগে থেকেই তৈরি।
যদি স্টাইল হুবহু মিলে যায় সে ক্ষেত্রে নতুন করে সম্বল তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যদি একটুও জ্ঞান থাকে তবে সে ক্ষেত্রে আবারও স্যাম্পল মানাতে হবে এবং দেখতে হবে না।
মেজারমেন্ট এবং টেকনিক্যাল ফাইল রিভিওঃ
আগের স্টাইলের টেকনিক্যাল ফাইল এবং মেজারমেন্ট রিপোর্ট ভালভাবে রিভিও করে দেখতে হবে।
ঐ সময় অর্থাৎ আগে যখন স্টাইলটা লাইনে চলেছিল তখন কি কোন মেজারমেন্ট ইস্যু ছিল কি’না তা বের করতে হবে।
যদি থাকে তবে সেটা কিভাবে সমাধান করা হয়েছিল সেটা বিবেচনায় আনতে হবে।
নতুন যে স্টাইলটা শুরু হচ্ছে টা যদি আগের মত হয় তবে চেক করতে হবে একই ধরনের কোন সমস্যা আছে কিনা।
অর্থাৎ সেই সময়ের যে সমাধান দেওয়া হয়েছিল সেটা এখন আগেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে কি’না সেটা বিবেচনায় আনতে হবে।
কাউন্টার স্যাম্পল রিভিও করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
কাউন্টার স্যাম্পল যেহেতু আগেই একবার বানানো হয়েছিল তাই এই ক্ষেত্রে আবার বানানোর দরকার নেই।
তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ডুপ্লিকেট কাউণ্টার স্যাম্পল বানাতে হবে।
এবং এই ডুপ্লিকেট কাউণ্টার স্যাম্পলের সাথে আগের কাউণ্টার স্যাম্পল মিলিয়ে দেখতে হবে হুবাহু ম্যাচিং হচ্ছে কি’না সেটা যাচাই করার জন্য।
আগে স্টাইলের পি পি কমেন্ট রিভিওঃ
আগের স্টাইলের পি পি কমেন্টস অর্থাৎ প্রি প্রডাকশন রিপোর্টে যে কমেন্ট ছিল সেটা আবারো বিবেচনায় আনতে হবে।
আগের পিপি কমেন্ট এই ক্ষেত্রেও প্রয়োজ্য হবে কি’না সেটা যাচাই করে দেখতে হবে।
ফ্ল্যাশ ব্যাক মিটিং করা প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
সব রিপোর্ট, স্যাম্পল যাচাই করা শেষ হলে পিএম কে সবাইকে ডেকে একটি মিটিং করতে হবে।
পূর্বের ডাঁটা এনালাইসিস এবং নতুন করে নতুন রিপিট স্টাইলের জন্য প্রয়োজ্য হবে কি’না ইত্যাদি বিষয়ে সবার মতামতের জন্য যে মিটিং করা হয় সেটাই হচ্ছে ফ্ল্যাশ ব্যাক মিটিং।
ফ্ল্যাশ ব্যাক অর্থাৎ আগের জায়গায় গিয়ে সেই সময়ের সমস্যার বিপরীতে কার্যাবলী আলোচনার করার মিটিং হচ্ছে ফ্ল্যাশ ব্যাক মিটিং।
রিপিট স্টাইলের ক্ষেত্রে এই ধরনের ফ্ল্যাশ ব্যাক মিটিং করতে হবে।
এটাইও অনেকটা পিপি মিটিং এর মতই তবে এইক্ষেত্রে আগের স্টাইলের কার্যাবলি বিবেচনায় আনতে হবে।
সেই সময়ে কোন সমস্যায় কিভাবে সমাধান দেওয়া হয়েছিল তা এই ফ্ল্যাশ ব্যাক মিটিং শেয়ার করতে হবে।
পিএম বা প্রডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব বা কাজ হচ্ছে এই ধরনের ফ্লাশ ব্যাক মিটিং এর নেতৃত্ব দেওয়া।
কারণ এতে তার পূর্বের অবিজ্ঞতা থাকে। এবং সহজেই বিষয়টিকে আরো ভালো ভাবে প্রজেন্ট করতে পারবেন।
- প্রত্যেকটি স্টাইলের জন্য ফেব্রিক এবং এক্সেসরিজ আগের মত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডকুমেন্ট আপগ্রেডিং: such as
- লাইন ওয়াইজ দৈনিক প্রডাকশন প্লান
- লাইন লে-আউট প্লান
- দৈনিক ফোরকাস্ট রিপোর্ট প্রোডাকশন, কাটিং এবং ফিনিশিং এর জন্য
- দৈনিক প্রডাকশন রিপোর্ট
- স্টাইল পুনঃ শুরুর রিপোর্ট
নিরাপত্তা এবং কমপ্লাইন্স সম্পর্কীত বিষয়সমূহঃ
পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের অন্যতম প্রধান কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে সেফটি এবং কমপ্লাইয়েন্স বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করা।
এইগুলো যেকোন অডিটের জন্যে ক্রিটিক্যাল হিসেবে কাজ করে তাই এইগুলোকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
- নিরাপত্তা এবং কমপ্লাইন্স সম্পর্কীত বিষয়সমূহ ভাল করে বুঝতে হবে এবং
- ফ্লোরের সকল ম্যানেজমেন্ট সব রিকোয়ারমেন্ট বুঝা নিশ্চিত করতে হবে এবং এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।
নিডেল, শার্প টুলস , মেটাল কন্ট্রোল প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজঃ
প্রডাকশন ম্যানেজারের বা পিএম এর অন্যতম প্রধান কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে প্রডাক্ট সেফটি নিশ্চিত করা । এই জন্যে তাকে-
- কোম্পানি প্রদত্ত শার্প টুলস প্রসিডিউর, ব্রোকেন নিডেল হ্যান্ডেলিং প্রসিডিউর এবং নিডেল ডিস্পোজাল প্রসিডিউর নিজে বুঝাসহ সবাইকে বুঝা নিশ্চিত করতে হবে
- এই সব কিছু সিস্টেম ওয়াইজ হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে।
- শার্প টুলস / মেটাল কন্ট্রোলিং প্রসিডিউর দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজমেন্ট দ্বারা নিয়মিতি হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে।
- জ্ঞান এবং অন্যান্য প্রযোজনীয় দক্ষতা ( ফাংশনাল / টেকনিক্যাল এবং আচরণবিধি)
প্রডাকশন ম্যানেজারের অন্যান্য ফাংশনাল / টেকনিক্যাল দক্ষতা সম্পন্ন কাজ গুলি:
পিএম এর বা প্রডাকশন ম্যানেজারের অন্যতম এর কাজ বা দায়িত্ব হচ্ছে কোম্পানির টেকনিক্যাল পয়েন্টগুলি ভালো ভাবে হ্যান্ডেল করা।
এ জন্যে তাকে নিচের বিষয়গুলি ভালো ভাবে বুঝতে হবেঃ Such as
-
- সুইং প্রসেস বুঝা
- ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল এবং হ্যান্ডলিং
- বায়ারের চাহিদা সম্পর্কীত জ্ঞান
- কোম্পানির এস.ও.পি. সম্পর্কে জ্ঞান
- আচরণবিধি সম্পর্কীত দক্ষতা
- ভাল যোগাযোগের দক্ষতা
- টিম ওয়ার্কে কাজ করার দক্ষতা
- রিলেশন বিল্ডিং
- আত্মবিশ্বাস
- সাংগঠনিক সচেতনতা
- সত্যবাদিতা
চাইলে আরো পড়তে পারেনঃ
https://www.garmentsshiksha.com/absenteeism-problems-and-solution/
https://www.garmentsshiksha.com/progressive-bundle-system/
https://www.garmentsshiksha.com/light-requirements/
https://www.garmentsshiksha.com/garments-cncm-control-of-non-conforming-materials/
আশাকরি প্রডাকশন ম্যানেজারের কাজ বা দায়িত্ব সম্পর্কে ধারনা দিতে পেরেছি। কোন প্রশ্ন থাকলে জানাবেন। ধন্যবাদ।